আগামী ৩রা এপ্রিল , ওমরাহ গ্রুপের ডাইরেক্ট ফ্লাইট সৌদি এয়ারে

গাইডলাইন

হজ্জ্ব সফরের ধারাবাহিক কার্যপ্রণালী:

০১ .

হজ্জ্বের ইহরাম (ফরজ)

হারাম শরিফ বা বাসা থেকে আগের নিয়মে শুধু হজ্জ্বের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ৮ জিলহজ্জ জোহরের আগেই মিনায় পৌঁছে যাবেন।

০২ .

আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (ফরজ)

হজ্জ্বের অন্যতম ফরজ হলো ৯ জিলহজ্জ দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান। জোহর ও আসরের নামাজ নিজ নিজ সময়ে আদায় করুন এবং মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দিন।

০৩ .

মিনায় অবস্থান (সুন্নত)

জিলহজ্জ ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ জিলহজ্জ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করুন এবং এ সময়ে মিনায় অবস্থান করুন।

০৪ .

মুজদালিফায় অবস্থান (সুন্নত)

সূর্যাস্তের পর আরাফা থেকে মুজদালিফায় পৌঁছে এক আজান ও এক ইকামতে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করুন। সেখানে রাত যাপন করুন (সুন্নত) এবং ১০ জিলহজ্জ ফজরের নামাজ শেষে সূর্যোদয়ের পর কিছুক্ষণ অবস্থান করুন (ওয়াজিব)। রাতে ছোট ছোলার দানার মতো ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করুন। দুর্বল ও নারীদের জন্য এ অবস্থান বাধ্যতামূলক নয়।

০৫ .

কঙ্কর নিক্ষেপ (প্রথম দিন)

১০ জিলহজ্জ ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধু বড় জামারাকে (বড় শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করুন (ওয়াজিব)। এ সময়ে সম্ভব না হলে এ রাতের শেষ পর্যন্ত কঙ্কর মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের জন্য রাতেই কঙ্কর মারা উত্তম ও নিরাপদ। কঙ্কর মারার স্থানে বাংলা ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়; তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং মেনে চলুন।

০৬ .

কোরবানি করা (ওয়াজিব)

১০ জিলহজ্জ পাথর নিক্ষেপের পরে কোরবানি সঠিক পন্থায় আদায় করুন। কোরবানির পরেই কেবল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে মাথা হলক করুন (ওয়াজিব)।খেয়াল রাখবেন, কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি করা ও চুল কাটার মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি এবং ওয়াজিব। অন্যথায় দম বা কাফফারা দিয়ে হজ্জ্ব শুদ্ধ করতে হবে।

০৭ .

তাওয়াফে জিয়ারত (ফরজ)

জিলহজ্জ ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই তাওয়াফে জিয়ারত করে নিতে হবে। তা না হলে ১২ জিলহজ্জ পরে তাওয়াফটি করে দম দিতে হবে। তবে নারীরা প্রাকৃতিক কারণে করতে না পারলে পবিত্র হওয়ার পরে করবেন।

০৮ .

কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)

জিলহজ্জ ১১ ও ১২ তারিখে কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)। ১১-১২ জিলহজ্জ দুপুর থেকে সময় শুরু হয়। ভিড় এড়াতে আসরের পর অথবা আপনার সুবিধাজনক সময়ে সাতটি করে কঙ্কর মারবেন। প্রথমে ছোট, মধ্যম, তারপর বড় শয়তানকে। ছোট জামারা থেকে শুরু করে বড় জামারায় শেষ করুন। সম্ভব না হলে শেষরাত পর্যন্ত মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের জন্য রাতেই নিরাপদ।

০৯ .

মিনা ত্যাগ ও বিদায়ী তাওয়াফ (ওয়াজিব)

১৩ জিলহজ্জ মিনায় না থাকতে চাইলে ১২ জিলহজ্জ সন্ধ্যার আগে অথবা সন্ধ্যার পর ভোর হওয়ার আগে মিনা ত্যাগ করুন।

বাংলাদেশ থেকে আগত হজ্জ্বযাত্রীদের হজ্জ্ব শেষে বিদায়ী তাওয়াফ করতে হয় (ওয়াজিব)। তবে হজ্জ্ব শেষে যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে পরিণত হয়ে যায়। 

ওমরাহ সফরের ধারাবাহিক কার্যপ্রণালী:

১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ)

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গোসল বা অজু করে নিন। মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন, আরেকটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়া। ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া পড়ে নিন। তালবিয়া হলো- ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা।(لَبَّيْكَ ٱللَّٰهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ ٱلْحَمْدَ وَٱلنِّعْمَةَ لَكَ وَٱلْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ )

২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ)

ইজতিবাসহ তাওয়াফ শুরু করতে ডান বগলের নিচ দিয়ে চাদর পেঁচিয়ে বাম কাঁধে রাখুন। হাজরে আসওয়াদ বরাবর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। রুকনে ইয়ামানিকে হাত দিয়ে স্পর্শ করুন, চুমু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হাজরে আসওয়াদে ফিরে ইশারা করে হাতের তালুতে চুমু দিয়ে দ্বিতীয় চক্কর শুরু করুন। এভাবে সাত চক্কর সম্পন্ন করুন। ভুল এড়াতে সাত দানার তসবিহ বা গণনাযন্ত্র ব্যবহার করুন।

৩. তওয়াফের দুই রাকাত নামাজ (ওয়াজিব)

মাকামে ইবরাহিমের পেছনে বা হারামের যে কোনো স্থানে তওয়াফের নিয়তে (মাকরুহ সময় ছাড়া) দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করুন। মনে রাখবেন, এটা দোয়া কবুলের সময়। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের অন্যতম ফরজ।

৪. ওমরাহর সায়ি (ওয়াজিব)

সাফা পাহাড়ের কাছে গিয়ে কাবা শরিফের দিকে মুখ করে সায়ি’র নিয়ত করে দোয়া করুন। তারপর মারওয়ার দিকে রওনা হয়ে সবুজ দাগের মধ্যে দ্রুত হাঁটুন। মারওয়ায় পৌঁছে কাবার দিকে মুখ করে তাকবির ও দোয়া করুন। এভাবে সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর সম্পন্ন করুন। সপ্তম চক্করে মারওয়ায় সায়ি শেষ করে দোয়া করুন।

৫. হলক করা (ওয়াজিব)

পুরুষ হলে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আদর্শ অনুসরণে সম্পূর্ণ মাথা মুণ্ডন করবেন, তবে মাথার চুল ছাঁটতেও পারেন। মহিলা হলে চুলের মাথা এক ইঞ্চি পরিমাণ কাটবেন।

হজ্জ্ব যাত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার জন্য অপরিহার্য জিনিসপত্র: